লেঃ জেঃ জগজিৎ সিং অরোরা, ভারত
দীর্ঘ নয় মাস ধরে ধ্বংস, মৃত্যু আর তীব্র
যন্ত্রণাময় ক্ষত বুকে নিয়ে একটি ভুখণ্ড কেবল আর্তনাদ করে যাচ্ছিলো ভুমিষ্ট
হবার জন্য। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই ক্ষণ এসেছিলো ১৬ই ডিসেম্বর হানাদার
পাক-বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে। আমরা পেয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম
দেশ।
১৬ই ডিসেম্বরের বিজয়ের দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি লেঃ জেঃ
আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজির আত্মসমর্পনের ছবিটা আমাদের কাছে অতি পরিচিত।
ছবিতে জেনারেল নিয়াজী যাঁর কাছে আত্মপ্সমর্পন করছেন তিনি ভারতীয়
সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেঃ জেঃ জগজিৎ সিং অরোরা। ১৯১৬
সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাকিস্তানে ঝিলামে সম্ভ্রান্ত
শিখ পরিবারে জন্ম নেওয়া এই বীর ভারত-পাকিস্তান আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ শুরু হলে
বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর লেঃ জেঃ অরোরা ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় কমাণ্ডের
প্রধান থাকাকালীন সময় বাংলাদেশ-ভারতের মিত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবেও
নিযুক্ত হন। বাংলাদেশের পক্ষে দলের প্রধান ছিলেন জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী।
ডিসেম্বরের শুরুতে পাকিস্তানী সৈন্যদের আক্রমণ অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও
ভারতীয় সামরিক বাহিনী বাঙালি মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় পাক-বাহিনীকে পাশ
কাটিয়ে ঢাকামুখে অগ্রসর হয়ে ঢাকা করায়ত্ত করতে সামর্থ হয়। এর ফলশ্রুতিতে
তিনি পূর্ব-পাকিস্তানে নিয়োজিত পাকবাহিনীর প্রধান লেঃ জেঃ নিয়াজী ও তার
সৈন্যবাহিনীকে আত্মসমর্পণের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের
ফলে পাকিস্তান সামরিক জান্তা তার পূর্ব-পাকিস্তানে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।
অরোরা তার নৈতিক সহায়তা দিয়ে তার দলবলসহ যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করেন
এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন ঘটান। শেষ পর্যন্ত জেনারেল নিয়াজী ও
তার দলবল আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১- বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি স্মরণীয় দিন। জেঃ অরোরা
ভারত-বাংলাদেশের সমন্বয়ে গড়া মিত্রবাহিনীর প্রধান হিসেবে লেঃ জেঃ
নিয়াজী'র আত্মসমর্পণ দলিল গ্রহণ করেন। দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ হয় এবং বাংলাদেশ নামক একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় ঘটে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে লেঃ জেঃ জগজিৎ সিং অরোরা'র কৃতিত্বপূর্ণ
অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক পদকে
ভূষিত করে সম্মানিত করেন। ২০০৫ সালের ৩রা মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন
বাংলাদেশের দুর্দিনের এই মহান সারথি।

তথ্যসূত্রঃ উইকি
হোর্হে লুইস বোর্হেস, আর্জেন্টিনা

একাত্তরের পুরো নয়মাস ধরেই সারা বাংলায়
নির্বিচারে চলেছে জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা-ধর্ষনের মত মর্মান্তিক ঘটনাবলী।
প্রাণ বাচাতে অগনিত মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ভারতের বিভিন্ন
শরনার্থী শিবিরে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমগুলোতে নিয়মিতভাবেই উঠে
আসছিল নির্মম চিত্রগুলো। সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে
সাংবাদিক-সাহিত্যিক-গায়ক থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদগণ সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন
এই বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দুর্দশাগ্রন্থ
মানুষের। হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও এদেশের মানুষের উপর অত্যাচারের চিত্র
তাঁদের বিবেককে তাড়িত করেছিলো। ভারতীয় বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরগুলোতে
বাঙালিদের মানবেতর জীবন যাপন তাঁদেরকে বিচলিত করে তুলেছিলো।
লাতিন আমেরিকার একজন প্রথিতযশা ভিন্ন ঘরানার সাহিত্যিক হোর্হে লুইস
বোর্হেস, যিনিও ১৯৭১ এ বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের জন্য সোচ্চার হয়েছিলেন।
পূর্ণ নাম হোর্হে ফ্রান্সইস্কো ইসইদোরো লুইস বোর্হেস আসেবেদো (Jorge
Francisco Isidoro Luis Borges Acevedo)। তাঁকে বিংশ শতাব্দীর সবচাইতে কৃতি
ও প্রভাবশালী লেখক হিসেবে গণ্য করা হত। জন্ম ১৮৯৯ সালের ২৪সে আগস্ট
আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে। ১৯১৪ সালে তাঁর পুরো পরিবার দেশ ত্যাগ করে
পাড়ি জমায় ইউরোপে। সুইজারল্যান্ডে বড় হওয়া বোর্হেস ১৯২১ সালে আবার ফিরে
আসেন জন্মভূমিতে। দেশে ফিরে প্রকাশ হতে থাকে তাঁর লেখা। যদিও তিনি তার
ছোটগল্পের জন্যই বেশী বিখ্যাত, বোর্হেস্ একাধারে কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও
সাহিত্য সমালোচনা লিখে গেছেন। তিনি সফল অনুবাদকও ছিলেন। তাঁর কাজের
স্বীকৃতি স্বরুপ ১৯৬১ সালে লাভ করেন প্রি-ইন্টারন্যাশনাল পুরষ্কার।
একাত্তরের ১১ই জুন, ভিক্তোরিয়া ওকাম্পো এবং সেই সময়ে লেখকদের লেখক হিসেবে
খ্যাত হোর্হে লুইস বোর্হেস আর্জেন্টিনার একদল বুদ্ধিজীবীকে সাথে নিয়ে
হাজির হয়েছিলেন সে দেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুই মারিয়া দ্য পাবলো
পার্দোর কার্যালয়ে। সেদিন তাদের সাক্ষাৎকারের মূল লক্ষ্য ছিল তখনকার পূর্ব
পাকিস্তান অর্থাৎ এই বাংলা। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সেদিনের সাক্ষাতে তারা
জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসাহায্য নিয়ে জন্য আর্জেন্টাইন সরকারকে বাংলাদেশের
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দাবী তোলেন। সেদিন মন্ত্রীর কাছে তাঁরা একটি
স্মারকপত্রও পেশ করেন। সেদিনের এই উদ্যোগে ওকাম্পো-বোর্হেসের সঙ্গে স্মারকে
আরও স্বাক্ষর করেছিলেন আর্জেন্টিনার শীর্ষস্থানীয় লেখক, শিক্ষাবিদ,
শিল্পী, আইনজীবী, এল সালভাদর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফাদার ইসমায়েল
কুইলেস।
১১ জুন ১৯৭১ সালে আর্জেন্টাইন মন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকপত্রের ভাষ্য:
‘পূর্ব বাংলার সাম্প্রতিক ট্র্যাজিক ঘটনায় অবিশ্বাস্য সংখ্যক মানুষ— পুরুষ,
মহিলা ও শিশু নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।
সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ মানবিক সমস্যা। ঐতিহ্যের প্রতি অনুরক্ত থেকে
ভারত শান্তি, সহাবস্থান ও সমমর্মিতার প্রতি নিবেদিত— হতভাগ্য
শরণার্থী, যাদের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, তাদের খাওয়াতে-পরাতে ও
বাসস্থান দিতে ভারত হিমশিম খাচ্ছে। ভারত যখন নিজেই জাতি গঠনের কাজে
নিয়োজিত, তখন এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ভার একা বহন করা ভারতের পক্ষে সম্ভব
নয়।
‘মানুষের ট্র্যাজেডি জাতীয়তা ও
সীমান্তের বাধা মানে না; পৃথিবীর যেকোনো স্থানে ভোগান্তি, মৃত্যু ও
বিপন্নতা সমগ্র মানবজাতির উদ্বেগের কারণ। তার পরও এটা দুর্ভাগ্যজনক যে
পূর্ব বাংলায় যা ঘটছে, তার পরও বিশ্ববিবেক ঠিকভাবে জেগে ওঠেনি। এমনকি অন্য
দেশের দায়ভার, যার সৃষ্টিতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই, তা প্রশাসনের মাধ্যমে
মানবিক সমস্যা কমাতে পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক সাড়া পাওয়া যায়নি। সরকারগুলোর
কিছু সাহায্য-তহবিল থেকে থাকে, কিন্তু সংকটের যে আকার, তাতে পরিস্থিতির
দাবি—বিশ্বমানবতা এগিয়ে আসুক, এ সমস্যার ভার বহনে অংশী হোক। এটি
আন্তর্জাতিক সমস্যা, জাতীয় নয়।
‘এই বিশেষ ক্ষেত্রে জবাব
কিন্তু তাত্ত্বিকভাবে একাত্মতা ঘোষণা করা নয়, কিংবা কেবল অনুধাবনের সাক্ষ্য
নয়, এটা হতে হবে ধনাত্মক ও সরাসরি সাহায্য—হতে হবে নগদ সাহায্য কিংবা
দ্রব্যসামগ্রী, সেই সঙ্গে বিশ্ববিবেক জাগানো এবং এই সংকটকে সমষ্টিগত
দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করা তো রয়েছেই।
‘আশা করা যায়, আমাদের সরকার
বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও সংহতির প্রতি বিশ্বস্ত থেকে পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী
জরুরি ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সাড়া দেবে এবং ভারতের ওপর আরোপিত দুর্দশা লাঘব
করবে।
১৯৫০ সালের শুরুর দিকে বোর্হেস সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যান। জীবনের বাকি সময়
তিনি অন্ধ অবস্থায় অতিবাহিত করেন। ১৯৮৬ সালে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত
হয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই গত শতকের একজন
অন্যতম শ্রেষ্ট সাহিত্যিক।
তথ্যসূত্রঃ আলীম আজিজ, প্রথম আলো।
জন আর কেলি, আয়ারল্যান্ড
যেসব গুণী মানুষ একাত্তরে আমাদের চরম দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের
একজন ছিলেন- জন আর কেলি। একজন আইরিশ, একাত্তরে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ শরনার্থী
সংস্থার প্রতিনিধি। ৭১-এ সারা বাংলায় যখন যুদ্ধের নির্মম অত্যাচার আর
হত্যাযজ্ঞ চলছিলো, বিপুলসংখ্যক বিপন্ন মানুষ জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিলো
ভারতীয় শরনার্থী শিবিরগুলোতে, ঠিক সেইরকম এক কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি
বাংলাদেশের শরনার্থী সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হন।
ডিসেম্বরের শুরুতে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠলে শরনার্থী সংক্রান্ত
কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে তিনি সামরিক ও সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব পান। কেলি টের পান নেপথ্যে কোন একটা ষড়যন্ত্র চলছে।
পাকিস্তানে সামরিক শাসন, মুক্তিবাহিনীর জীবনপণ গেরিলাযুদ্ধ এবং ভারতবর্ষের
শামরিক আক্রমণ- সব মিলে উপমহাদেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হতে যাচ্ছে সেটা
দ্রুত ঠেকানোর জন্য কেলি প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তিনি একাধিকবার
তৎকালীন গভর্নর ডক্টর মালেকের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারতীয় বিমানবাহিনীর
পুনঃপুনঃ আক্রমনের মধ্যে মৃত্যুর মুখোমুখি ডক্টর মালেক অবশেষে পদত্যাগপত্রে
স্বাক্ষর করেন।
১৫ই ডিসেম্বর ইয়াহিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিরতির নির্দেশ এলেও আত্মসমর্পনের
বিশেষ একটি শর্তে ইসলামাবাদ আপত্তি জানায়। ১৬ই ডিসেম্বর প্রত্যুষে ভারতীয়
সেনাবাহিনীর চরম শর্ত- বেলা সাড়ে নয়টার মধ্যে আত্মসমর্পন না করলে আবার
সর্বাত্মক আক্রমণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে কেলি সামনের জটিল
পরিস্থিতি অনুধাবন করেন এবং তিনি কখনো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কখনো
ক্যান্টনমেন্টে আপোস-মীমাংসার চেষ্টা চালাতে থাকেন। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর
সকাল ৯টা বেজে ২০ মিনিটে তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। তার মনে হয় তিনি
আইরিশ বলেই বোধহয় গোড়া থেকেই বাঙালিদের জন্য তাঁর বিশেষ এক ধরনের গর্ব ও
সমবেদনা ছিল। এইদিন তিনি যখন সেনানিবাসের কমান্ড বাংকারে পৌছান, সেখানে
নিয়াজীকে পাওয়া যায়নি, বিবর্ণ ও বিধ্বস্ত অবস্থায় ফরমান আলীকে পাওয়া গেল।
ফরমান আলী জানায়, আত্মসর্মপণ সংক্রান্ত ভারতীয় বাহিনীর সব প্রস্তাব তারা
মেনে নিয়েছে, কিন্তু তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় ভারতে সেই
প্রস্তাব তারা পাঠাতে পারছিলো না। তখন কেলি প্রস্তাব দেন, জাতিসংঘের বেতার
সংকেত ব্যবহার করে তিনি বার্তা পৌছে দিতে পারেন। আত্নসমর্পণের জন্য বেধে
দেয়া সময় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আরোও ৬ ঘন্টা বাড়ানো ছাড়া ভারতীয় বাহিনীর সব
প্রস্তাব মেনে নিয়ে আত্নসমর্পণের বার্তা পৌছে দেয়া হয় জাতিসংঘের বেতার
সংকেত ব্যবহার করে।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তের নদী পার হয়ে বাঙালি জাতির জন্য এসেছিলো নতুন ভোর।
প্রভাতের প্রথম সূর্য্যরশ্মির রঙিন আলোয় রেঙেছিলো প্রতিটি বাঙ্গালির মন। আর
জন কেলি ঠিক সেই বিজয়ের দিনে আমাদের ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন। দেশ স্বাধীন
হবার পরও কেলি বাহাত্তরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ছিলেন শরণার্থি
পুনর্বসনের কাজে।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশের যুক্তিযুদ্ধে বিদেশীদের ভূমিকা- সোহরাব হাসান
চলবে......
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন