শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কবিতাঃ বিবর্তন

একদিন তুমি মানুষ ছিলে,
একদিন মানুষ হয়েই জন্মেছিলে ধরায়,
চাঁদমুখে তোমার ছিল যে হাসির ঝিলিক,
দৃষ্টিতে গভীর মায়াজাল, নিষ্পাপ চাহনিতে
কেড়ে নিতে কত মানুষের মন!
তখন তুমি ছিলে এক দেবদূত।
হ্যাঁ, মানুষের চেয়েও বেশিকিছু।

তারপর একদিন সময় হল এগিয়ে যাবার,
তুমিও চলেছো সময়ের সাথে, সম্মুখে;
শৈশব ছাড়িয়ে কৈশোর পৌঁছেছিলে,
ধনী-গরীব, উচু-নীচু ভেদাভেদ ছিল না কিছু তোমাতে,
তখনও তোমার ভিতরে আলো ছিল,
ভালবাসা ছিল- মানুষের জন্য, নিজের জন্য;
কারণ- তখনও তুমি কিন্তু মানুষ-ই ছিলে।

তারপর কত কাল যে হয়ে গেল গত,
কত জল গড়ালো পদ্মা-মেঘনা-যমুনায়,
তুমিও বদলে গেলে, নিজেকে বিসর্জন দিলে;
তোমার দু’পাশে জুটেছিলো কপট মূর্খের দল,
একদিন তুমিও মিশে গেলে ভ্রান্ত কালের স্রোতে;
সেই থেকে শুরু, বিবর্তন তোমার হয়েছিলো ঠিকই-
তবে শরীরে নয়- মনে; মেধা কিংবা মননে নয়- স্খলনে।

এখন কতকিছু ঘটে যায় তোমার ইশারায়,
রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতেও বাঁধে না আর,
দেশ-জাতি কিংবা আলোকিত মানুষ কাকে বলে
ভুলে গেছ তুমি, কি অবলীলায় বিভেদের দেয়াল তুলে দাও
মানুষে-মানুষে, ধর্মে-বর্ণে; কর্ম তোমার কাছে মূল্যহীন,
চিন্তা-চেতনার বিনাশে এ কি নিষ্ঠুরতা তোমার!

এখন তোমাকে দেখে কেবলই মনে হয়-
তুমি আর মানুষ নও; এক চতুষ্পদী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উপন্যাসঃ ফেরা (পর্বঃ ২১ - ২৫ - শেষ পর্ব)

এ ই উপন্যাসটিতে সম্মুখ সমরের কোন ঘটনা তুলে ধরা হয়নি।  ওয়ারফ্রন্টের কোনও দৃশ্য নেই। তবে এই লেখায় মূলত যে গল্পটি বলার চেষ্টা ক রা হয়েছে  তা মু...