শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কবিতাঃ অবশেষে




তুমি এসেছিলে-
শিমুল-জারুলের প্রান্ত ছুঁয়ে,
কৃষ্ণচূড়ার আগুনলাগা বনে,
এসেছিলে প্রশান্তির বেশে; অবশেষে।
ব্যথাতুর রাত্রির নিস্তব্ধ আকাশের বুক চিরে-
অন্ধকারের প্রাচীর বেয়ে তুমি এসেছিলে,
এই শহরের ধুলোমাখা পথে; অবশেষে।

চাতকীর স্বপ্নাতুর চোখ জুড়িয়ে
রৌদ্রক্লান্ত পথিকের ঘর্মাক্ত শরীরে
একমুঠো সুখের পরশ বুলাতে
তুমি এসেছিলে; অবশেষে।

নির্ঘুম অষ্টপ্রহরে-
কিশোরীর উদাসীন চোখের জানালায়,
আর- তপ্ত দুপুরের আগুন বাতাসে
স্কুল বালকের একাকী হেঁটে যাওয়ায়
কাঙ্ক্ষিত অনুক্ষণের মত-
তুমি এসেছিলে; অবশেষে।

পথকলিদের দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়ে
শ্মশানভূমির মত অচল পৃথিবীতে
পুড়ে যাওয়া দেহে বাঁচার প্রেরণা হয়ে
তুমি এসেছিলে; অবশেষে।

অনলবৈশাখের উদভ্রান্ত খরতাপে
বেলাশেষের অপেক্ষার শেষ লগ্নে,
অধীর প্রতীক্ষার প্রহর শেষে
যতই দেরী হোক, তবুও তো তুমি এলে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উপন্যাসঃ ফেরা (পর্বঃ ২১ - ২৫ - শেষ পর্ব)

এ ই উপন্যাসটিতে সম্মুখ সমরের কোন ঘটনা তুলে ধরা হয়নি।  ওয়ারফ্রন্টের কোনও দৃশ্য নেই। তবে এই লেখায় মূলত যে গল্পটি বলার চেষ্টা ক রা হয়েছে  তা মু...