ফেরারী বিকেলটা ছুটে পালাতেই
ধেয়ে আসে আলো-আধারি সান্ধ্য প্রহর,
গোধূলির চুরি যাওয়া আলোয় বেজে ওঠে-
বিষাদ-অন্ধকারের বিষণ্ন সুর।
তখন- ঘুমভাঙা পাখিদের মত
নিয়ত জেগে থাকে সিক্ত আকাশ-
ছায়া-ছায়া ধবল কুয়াসায়।
সাঁঝের প্রহরে কাঁপন জাগানিয়া হিম নামে-
হিজলের বনে, পৌষী হিমেল রাতে
ধ্যানমগ্ন সন্ধ্যাতারাটা স্যাঁতসেঁতে পুকুরটার বুকে
স্থির ছবি আঁকে।
তারই পাড়ে ভিড় করে-
ডানপিটে ছেলেছোকড়ার দল;
ঝরা পাতা, খড়কুটো জ্বেলে ওম খোঁজে-
আগুনের হল্কায়।
রূপালি চন্দ্রপ্রভায় জোছনা-কুয়াসা
নিবিড় মিতালী গড়ে; অতঃপর
নিশীথে নিঃশব্দ শিশিরের প্লাবন বয়ে যায়-
ঘরদোরের ঘুলি-ঘুপচিতে; লাউয়ের মাচায়।
মৌন রাত্রির নির্জীব আলোয় স্নান শেষে
জেগে থাকে একলা ডাহুক আর একাদশী চাঁদ -
সন্ধ্যামালতী, কাঁঠালচাঁপার বনে।
রাত্রি সম্পন্ন করে তার সমস্ত আয়োজন,
আদুরে বিছানা, উষ্ণ লেপের পরশে
আয়েশী নিদ্রা ভুলে বেহিসেবী মন-
নির্বাসিত শয্যায় মিলাতে চায়
পাওয়া না-পাওয়ার দুর্বোধ্য
সমীকরণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন