ওইখানে
ছিল তার ঘর, মাত্র কিছুকাল আগে-
মনে পড়ে; সব।
ভাঙ্গনের খেলা দেখেছে কত এ দুটি চোখ-
ঝাপসা হয়ে আসে আজ, বারে বারে।
মনে পড়ে; সব।
ভাঙ্গনের খেলা দেখেছে কত এ দুটি চোখ-
ঝাপসা হয়ে আসে আজ, বারে বারে।
একদিন
যৌবন ছিল,
লড়েছে কত- বানের সাথে, ঝড়ের সাথে;
এখন শুধুই স্মৃতি, মনে পড়ে- সব।
লড়েছে কত- বানের সাথে, ঝড়ের সাথে;
এখন শুধুই স্মৃতি, মনে পড়ে- সব।
ক্ষণে
ক্ষণে বুকের ভিতরে
টের পায় ঢেউয়ের শব্দ,
কাঁপা কাঁপা পায়ে এসে দাঁড়ায়- ভাঙা পাড়ে।
কাঁপা কাঁপা পায়ে এসে দাঁড়ায়- ভাঙা পাড়ে।
ওইখানে, ঠিক ওইখানেই ছিল তাঁর ঘর,
ছানি পড়া দু’চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে।
কিছুই নেই এখন আর- ঘর, যৌবন কিংবা সময়!
একদা কেটেছে দিন-
সবুজ বৃক্ষের ডালে ডালে, পাতায় কিংবা ফুলে,
ছানি পড়া দু’চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে।
কিছুই নেই এখন আর- ঘর, যৌবন কিংবা সময়!
একদা কেটেছে দিন-
সবুজ বৃক্ষের ডালে ডালে, পাতায় কিংবা ফুলে,
ধূসর
দৃষ্টি মেলে তাকায়-
পার হয়ে গেছে কত সুদীর্ঘ কাল,
জীবন সায়াহ্নের এই বালুকা বেলায়, বয়ে যায় সময়,
পার হয়ে গেছে কত সুদীর্ঘ কাল,
জীবন সায়াহ্নের এই বালুকা বেলায়, বয়ে যায় সময়,
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা
করে রাত্রি গড়ায়,
জীবনের চাকা ক্ষয়ে ক্ষয়ে থমকে দাঁড়ায়।
নিষ্ঠুর নিয়তি-
জীবনের চাকা ক্ষয়ে ক্ষয়ে থমকে দাঁড়ায়।
নিষ্ঠুর নিয়তি-
কুঁচকে
যাওয়া চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে
খুঁজে ফিরে ফেলে আসা দিন,
হারিয়েছে কত সাথীরে!
খুঁজে ফিরে ফেলে আসা দিন,
হারিয়েছে কত সাথীরে!
কেউ
প্রহর গুনছে আজ- তারই
মত;
খুঁজে ফিরে উজ্জ্বল আলো; ওখানে তো আলো নেই!
মেঘলা আকাশ, ফ্যাকাসে, থমথমে।
খুঁজে ফিরে উজ্জ্বল আলো; ওখানে তো আলো নেই!
মেঘলা আকাশ, ফ্যাকাসে, থমথমে।
রাত
জাগা চাঁদের স্নিগ্ধ আলো বুঝতে পারে না এখন আর,
হুক্কা হুয়া শিয়াল ডাকে দূরে কোথাও,
জানান দেয়- গভীর হয়েছে রাত।
বসন্ত আসে, আবার চলেও যায়, অগোচরে,
বৃষ্টি পড়ার শব্দ কান পেতে শোনে,
হুক্কা হুয়া শিয়াল ডাকে দূরে কোথাও,
জানান দেয়- গভীর হয়েছে রাত।
বসন্ত আসে, আবার চলেও যায়, অগোচরে,
বৃষ্টি পড়ার শব্দ কান পেতে শোনে,
আহা! কি সময় ছিল সেগুলো!
ভাঁজ পড়া কপালে চিন্তার রেখা-
কখন ডুববে চাঁদ, ফুরাবে সময়,
শেষ হবে খেলা।
ভাঁজ পড়া কপালে চিন্তার রেখা-
কখন ডুববে চাঁদ, ফুরাবে সময়,
শেষ হবে খেলা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন