বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

সময়



ওইখানে ছিল তার ঘর, মাত্র কিছুকাল আগে-  
মনে পড়ে;
 সব
ভাঙ্গনের খেলা দেখেছে কত এ দুটি চোখ-
ঝাপসা হয়ে আসে
আজ, বারে বারে
একদিন যৌবন ছিল,
লড়েছে কত-
 বানের সাথে, ঝড়ের সাথে; 
এখন শুধুই স্মৃতি,
 মনে পড়ে- সব।
ক্ষণে ক্ষণে বুকের ভিতরে টের পায় ঢেউয়ের শব্দ,
কাঁপা কাঁপা পায়ে এসে দাঁড়ায়-
 ভাঙা পাড়ে
ওইখানে, ঠিক ওইখানেই ছিল তাঁর ঘর, 
ছানি পড়া দুচোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে।
কিছুই নেই এখন আর-
 ঘর, যৌবন কিংবা সময়!
একদা কেটেছে দিন-
সবুজ বৃক্ষের ডালে ডালে, পাতায় কিংবা ফুলে
,
ধূসর দৃষ্টি মেলে তাকায়-  
পার হয়ে গেছে
কত সুদীর্ঘ কাল,  
জীবন সায়াহ্নের এই বালুকা বেলায়,
 বয়ে যায় সময়,
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা করে রাত্রি গড়ায়,  
জীবনের চাকা ক্ষয়ে ক্ষয়ে থমকে দাঁড়ায়
  
নিষ্ঠুর নিয়তি-
কুঁচকে যাওয়া চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে 
খুঁজে ফিরে
 ফেলে আসা দিন,   
হারিয়েছে কত সাথীরে!
কেউ প্রহর গুনছে আজ-  তারই মত;
খুঁজে ফিরে উজ্জ্বল আলো;
 ওখানে তো আলো নেই!  
মেঘলা আকাশ,
 ফ্যাকাসে, থমথমে।
রাত জাগা চাঁদের স্নিগ্ধ আলো বুঝতে পারে না এখন আর,
হুক্কা হুয়া শিয়াল ডাকে দূরে কোথাও
,
জানান দেয়- গভীর হয়েছে রাত।
  
বসন্ত আসে,
 আবার চলেও যায়, অগোচরে,   
বৃষ্টি পড়ার শব্দ কান পেতে শোনে
,
আহা! কি সময় ছিল সেগুলো!  

ভাঁজ পড়া কপালে চিন্তার রেখা-
 
কখন ডুববে চাঁদ,
 ফুরাবে সময়, 
শেষ হবে খেলা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উপন্যাসঃ ফেরা (পর্বঃ ২১ - ২৫ - শেষ পর্ব)

এ ই উপন্যাসটিতে সম্মুখ সমরের কোন ঘটনা তুলে ধরা হয়নি।  ওয়ারফ্রন্টের কোনও দৃশ্য নেই। তবে এই লেখায় মূলত যে গল্পটি বলার চেষ্টা ক রা হয়েছে  তা মু...