সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮

কবিতাঃ কীর্তনখোলা


এখনও কি কীর্তনখোলা তেমনি আছে ?
যেমন দেখেছি বহুকাল আগে 
কতদিন চলে গেছে! কতকাল!
একদিন এখানেই ছিলাম আমি, এই জনপদে
কত প্রদোষ কেটেছে এখানে; বালুচরে, কাশের বনে। 
সেই বহুকাল আগে বয়ে যাওয়া স্রোতে ভেসেছি কতবার!
 
পূর্ণিমায় রাত্রির রঙে নির্জনে,
 মিশে যাওয়া দিগন্তে-
নিবিড় নিস্তব্ধতায়,
 হেথায় বয়ে যেত পানসি তরী 
টলমলে জলের পরে’,
 সেসব কি ভোলা যায় !
দিনগুলো সব চলে গেছে নিঃশব্দে, সময়ের গহ্বরে।
কোথাও নেই আমি এখন আর, তবুও ভুলিতে পারি না তারে, 
মাছরাঙার রঙিন ঠোঁটের ভাঁজে ভাঁজে
 জমে থাকে গল্পগাঁথা,
কাশের বনে ধবল বকের ওড়াউড়ি কিংবা বালিহাঁসের জলকেলি;
স্মৃতির ভেলায় চড়ে খুঁজে ফিরি সেইসব ফেলে আসা দিন।

এখনও কি কীর্তনখোলা ডেকে বলে আমায়- ওরে আয় আয়,
এখনও কি তার বুকে জেগে থাকে হাহাকার-
 কোন আঁধারের নীলিমায়,
আহত সন্ধ্যায় গাঙচিলের ডানায় ভেসে আসা কান্নার গান-
এখনও কি বিরহের সুর তোলে-
 উদাসী দুপুরের কোন নিবিড় ছায়ায়? 


এখনও কি কীর্তনখোলায় ঢের মায়াময় রাত নামে,
এখনও কি জোছনা লুকায় ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে,
 
আমার না থাকা প্রহরে নিশাচরী জোনাকির দল
এখনও কি খোঁজে আমায় কোন অবাক করা লাজে?

যত দূরে যাই-
 পথ মিশে যায় পথের শেষে,
তবুও ফিরে আসি আমি বার বার;
 এখানেই,
এই মেঠোপথের বাঁকে,
 কীর্তনখোলার পাড়ে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উপন্যাসঃ ফেরা (পর্বঃ ২১ - ২৫ - শেষ পর্ব)

এ ই উপন্যাসটিতে সম্মুখ সমরের কোন ঘটনা তুলে ধরা হয়নি।  ওয়ারফ্রন্টের কোনও দৃশ্য নেই। তবে এই লেখায় মূলত যে গল্পটি বলার চেষ্টা ক রা হয়েছে  তা মু...