তুমি
তখন বয়ঃসন্ধিকালে
বাঁধনহারা
মুক্ত পাখির মত
নীল
আকাশে মেলে রঙিন ডানা-
উড়ে
বেড়াও নিজের খেয়ালে।
চোখ
দু’টো যে শান্ত নদীর জল,
ঘাস
ফড়িঙের স্বপ্ন ডানায়
কাটছিলো
দিন দৌদ্র ছায়ায়
পায়ে
তোমার বাজতো রূপোর মল।
আমি
কেবল পেরিয়েছি কৈশোর,
ভাবনাবিহীন
অলস অবসরে
তোমায়
দেখে থমকে দাঁড়াই,
দু’চোখ
ভরা স্বপ্নমোহের ঘোর।
মনের
মাঝে স্বপ্ন হাজার বুনি
রাত্রি
দিনের হিসাব নাহি রাখি
দুরন্ত
মন আর বাঁধ মানেনা-
তোমায়
দেখার প্রহর শুধু গুণি।
প্রায়ই
আমার স্কুল হত ফাঁকি,
লেখার
খাতায় কেবল আঁকিবুঁকি,
উথাল
পাথাল মনের অস্থিরতায়
পড়ালেখা
শিকেয় উঠতে বাকি।
ভরদুপুরে
নিরবধি কত অধীর ক্ষণ,
স্কুলগেটে
তোমার অপেক্ষাতে
বিবর্ণ
সব উদাস প্রহরগুলো
বুকের
ভিতর তুলতো আলোড়ন।
ভুল
বয়সের ভ্রান্ত কালের স্রোতে,
রঙিন
স্বপ্নে বিভোর হয়ে
কোন
খেয়ালে জড়িয়ে ছিলাম
অবাধ্য
এক মাতাল প্রেমের ফাঁদে;
নজরবন্দী রাজকন্যা উড়তে তোমার মানা,
স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট বুকে নিয়ে
অনেক পরে বুঝেছিলাম- তুমি ছিলে
শেকল পড়া বন্দী পাখির ছানা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন